অনলাইন ডেস্কঃ রমজান মাসের শেষ ১০ বেজোড় রাতের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। এই দশকের বেজোড় রাতগুলোতে নবী (সা.) বেশি বেশি আমল করে শবে কদর অনুসন্ধান করতে বলেছেন।
বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ রাত হচ্ছে শবে কদর বা লাইলাতুল কদর। এ রাতে প্রথম মক্কার হেরা পর্বতের গুহায় মহান আল্লাহ মুহাম্মাদ (সা.)-এর কাছে পবিত্র কুরআন নাজিল করেন।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা এই রাতের ফজিলত সম্পর্কে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমি কুরআন নাজিল করেছি কদর (মর্যাদাপূর্ণ) রজনীতে। আপনি কি জানেন মহিমাময় কদর রজনী কী? মহিমান্বিত কদর রজনী হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। সে রাতে ফেরেশতাগণ হজরত জিবরাইল (আ.) সমভিব্যাহারে অবতরণ করেন; তাদের প্রভু মহান আল্লাহর নির্দেশ ও অনুমতিক্রমে, সব বিষয়ে শান্তির বার্তা নিয়ে। এই শান্তির ধারা চলতে থাকে উষার উদয় পর্যন্ত।’ (সুরা-৯৭ কদর, আয়াত: ১-৫)।
এবার রমজানের শেষ দশকের যেসব আমল দিয়ে কদরের রাত সাজাতে হবে, সে বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিকুর রহিম।
রবিবার রাতে মুশফিক ফেসবুকে শবে কদর নিয়ে একটি পোস্ট করেন। সেখানে এই পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন নাজাতের দশদিনে যে দোয়াগুলো পড়তে বলেছেন আল্লাহ ও রাসূল (স.)
মুশফিক তার পোস্টে লেখেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। আজ থেকে কদরের রাত শুরু। আগামী দশটি রাতের যেকোনো একটিতে মহিমান্বিত সেই লাইলাতুল কদর, যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম! সেই রাতে যে কেউ কোনো নেক আমল করবে তা তার আমলনামায় ৮৪ বছর যাবত প্রতিদিন করতে থাকা ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে সুবহানাল্লাহ!’
এ সময় কদরের রাতগুলো সাজানোর বিষয়ে আমলের একটি তালিকা শেয়ার করেন মুশফিক। তিনি লেখেন, ‘আমরা নিম্নে উল্লেখিত কিছু নেক আমল দিয়ে আমাদের এই কদরের রাতগুলো সাজাতে পারি ইনশাল্লাহ। আল্লাহ কবুল করুন।
১. দান (কমপক্ষে ১ টাকা হলেও)
২. নামাজ ( অন্তত দুই রাকাত)
৩. দুআ (গোটা উম্মাহর জন্য)
৪. ৩ বার সুরা ইখলাস পড়া (কুরআন খতমের নিয়তে)
৫. কুরআন তিলাওয়াত ও মুখস্ত (হিফজের নিয়তে)
৬. রোজাদারকে ইফতার প্রদান (একটা খেজুর দিয়ে হলেও)
৭. তালিম+দ্বীনের দাওয়াত
৮. যিকির আজকার
দ্রষ্টব্য, কারো কথা শুনে কেউ নেক আমল করলে উক্ত ব্যক্তির জন্য আমলকারীর সমপরিমাণ সওয়াব লাভ হয় সুবহানাল্লাহ। তাই আসুন, আজই আমরা এই কথাগুলো মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেই। জাযাকাল্লাহু খয়ের,
লেখক: মুশফিকুর রহিম।
Leave a Reply